দার্জিলিং: বাগানে বাড়ন্ত আগাছা, পোকামাকড়ের উপদ্রব, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, শ্রমিকদের অনুপস্থিতি— সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় দার্জিলিংয়ের বাগিচা মালিকরা। আগামী ‘ফার্স্ট ফ্লাশ’ চায়ের বাজার নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একপ্রস্থ আলোচনা করেছে মালিকদের সংগঠন দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের (ডিটিএ) কর্তা ব্যক্তিরা। ফের তাঁরা শীঘ্র এর পর্যালোচনায় বসবেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতায় আগামী শুক্রবার বাগান-শ্রমিকদের মজুরির হার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাবিত বৈঠক। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে ডিটিএ।
দার্জিলিংয়ে উৎপাদিত চায়ের ২০ শতাংশ এই ‘ফার্স্ট ফ্লাশ টি’। কিন্তু নানা রকম চায়ের মধ্যে এটাই সবচেয়ে মূল্যবান। ডিটিএ-র এক আধিকারিক এই প্রতিবেদককে জানান, “শ্রমিকদের অনুপস্থিতির জন্য বাগানের আগাছা নির্মূল এবং সাফসুরতের কাজ করতে আগামী ফেব্রুয়ারি গড়িয়ে যাবে। খরাজনিত কারণ ও গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে গত কয়েক বছর মার খেয়েছে দার্জিলিংয়ের ফার্স্ট ফ্লাশ চা। এবারেও এর আগাম পূর্বাভাস মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। আমরা তাই চিন্তিত।”
ডিটিএ সূত্রের খবর, গত বছর দার্জিলিংয়ে উৎপাদিত হয় ৯৫ লক্ষ কিলো তৈরি চা। পাহাড়ে আন্দোলন-সহ নানা কারণে এবার বাজার প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাবে। বাগানগুলিতে মাসিক শ্রমিক অনুপস্থিতির হার ৫০-৬০ শতাংশের মত। ১০৪ দিনের গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে অবহেলায়, পরিচর্যাহীন অবস্থায় পড়ে থাকায় অবস্থা খুব খারাপ। ডিটিএ-র আওতাভূক্ত বাগানগুলির শ্রমিকসংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। চা চাষের এই পরিস্থিতিতে মজুরি হারের পুনর্বিন্যাসের আসন্ন বৈঠক নিয়ে বাগান মালিকরা তাই চিন্তিত।