কলকাতা: অসমে নাগরিকপঞ্জী তৈরি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তালিকায় ইচ্ছে করে বাঙালিদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রার অফ সিটিজেন (এনআরসি) বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকে ব্যবহার করে অসমে ‘বাঙালি হঠাও’-র অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বীরভূমের সভায় এ নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
ভিটেমাটি থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদ করতেই এই পরিকল্পনা বলে অভিযোগ তাঁর। নাগরিকপঞ্জীতে নাম না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকদের চিন্তার কারণ নেই। আশ্বাস অসম প্রশাসনের। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে যে কোনও প্রামাণ্য নথি দেখাতে পারলেই ভারতীয় হিসাবে প্রমাণ করা যাবে। এই নির্দেশিকা মেনেই কাজ চালাচ্ছে সমীক্ষক সংস্থা। প্রথম দফায় তালিকায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের পর আরও দুটি দফায় দেড় কোটি মানুষের নাম নথিভুক্ত হতে চলেছে।
মমতা বলেন, “অসমে বাঙালি হঠানো শুরু হয়েছে৷ ইচ্ছে করে মানুষের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে৷ অসমে গন্ডগোল হলে বাংলাতেও প্রভাব পড়বে৷ অসমে কোনও বাঙালির বঞ্চনা মানব না৷ আমাদের কারও সঙ্গে এ রকম করবেন না৷ আগুন নিয়ে খেলবেন না৷ মানুষের গায়ে হাত পড়লে ছেড়ে দেব না৷ কাজের চেয়ে রাজনীতিই বেশি হচ্ছে৷”
নাগরিকপঞ্জী নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে অসমবাসীর। আশ্বস্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল। একই পরামর্শ দিচ্ছে অগপ কিংবা আসুর মতো সংগঠনও। তাঁদের বক্তব্য, মমতার অভিযোগের ভিত্তি নেই। ‘আসু’-র মুখ্য পরামর্শদাতার সমুজ্বল ভট্টাচার্য জানান, প্রথম দফায় নাম না থাকলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রথম দফায় পর আরও দুই দফায় তালিকা প্রকাশ হবে। তখন নিশ্চয় নাম থাকবে। ভারতীয় হলে তাঁর নাম বাদ পড়বে না। সেইভাবেই কাজ হবে বলে আমরা আশাবাদী৷
Dear sir, Assam citizens who are living in Mumbai Delhi Noida or other states and could not apply due to net problem or other exigency are worried.Widespread awareness and facilities must be made available without any hidden agenda. Regards